কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় পানির সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে খাইয়ে অর্ধচেতন করে এক কিশোরীকে (১৬) রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কিশোরীর অভিযোগ, প্রেমের সম্পর্কের ফাঁদে ফেলে একটি মৎস্য খামারে তুলে নিয়ে স্থানীয় এক তরুণ এ কাজ করেছেন। এ ঘটনায় শনিবার বুড়িচং থানায় মামলা হলেও রোববার বিকেল পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে এ বছরের দাখিল পরীক্ষার্থী। ধর্ষণের অভিযোগে তার করা মামলায় আসামির বয়স ১৮। ওই কিশোরী জানায়, একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় ছেলেটির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে (পবিত্র শবে কদরের রাত) ছেলেটি তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে তরুণীর বাড়ির পাশে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেন। কথা বলার এক পর্যায়ে তরুণীকে জোরপূর্বক পাশের এক মৎস্য খামারে নিয়ে যান তরুণ প্রেমিক। সেখানে তরুণীকে পানির সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে খাইয়ে অর্ধচেতন করে তাকে রাতভর ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর তাকে ফেলে পালিয়ে যান প্রেমিক।
ওই তরুণীর বাবা জানান, ঘটনার পরদিন ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে মেয়ের কক্ষে গিয়ে দেখেন সে ঘরে নেই। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ভোরে তাকে রাস্তার মধ্যে অর্ধ–অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে মেয়ের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে প্রেমিকের বাড়িতে বিচার দিলে তারা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা কোনো সমাধানে আসেনি। একপর্যায়ে ওই কিশোরী থানায় মামলা করলে তাকে হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়া হয়।
ওই তরুণীর বাবা বলেন, ‘প্রেমের ফাঁদে ফেলে আমার মেয়ের সর্বনাশ করা হয়েছে। সামনে পরীক্ষা, এমন সময়ে এ ঘটনার কারণে মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে সে। আমি ন্যায়বিচার চাই।’
এ বিষয়ে আজ রোববার বিকেলে বুড়িচং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল্লাহ প্রধান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কের কারণে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। তবে মেয়েটির বয়স কম, এ জন্য তার দেওয়া এজাহারের ভিত্তিতে ধর্ষণের অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তরুণ পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a comment