রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মেলার মাঠ বরাদ্দকে কেন্দ্র করে বোমাবাজি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির এক নেতার অনুসারী ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার ও বুধবার অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি, চারটি ককটেল, একটি ছোরা ও একটি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. ইউনুস সরদার, মো. আল আমিন, আক্তার হোসেন, কবির শেখ, বাবুল ওরফে বাবু, মো. আলম, মো. সজল, মো. মাসুদ, মোকসেদুল শামীম শান্ত ওরফে কাজিম শান্ত, মো. জহিরুল্লাহ রিপন, বিল্লাল হাসান ওরফে কাল্লু এবং মাসুদ মিয়া। তাঁরা সবাই কামরাঙ্গীরচরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মো. মনির হোসেনের অনুসারী বলে জানা গেছে।
ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ এলাকায় ঠোঁটার মাঠে মেলা আয়োজন নিয়ে মনির হোসেন ও তাঁর প্রতিপক্ষ পারভেজ ওরফে ছোট বাবুর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। দরপত্র আহ্বানের পর মাঠ বরাদ্দ পান পারভেজ। এরপর মঙ্গলবার রাতে পারভেজ ও তাঁর সহযোগীরা মাঠ পরিচালনা নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন মনির হোসেনের অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং কয়েকজনকে গুরুতর আহত করে। পরে মুসলিমবাগ এলাকায় আরও ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর চালানো হয়।
এ ঘটনায় ফারুক মেম্বার বাদী হয়ে মনির হোসেনসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করেন। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে, হামলার পেছনে মনির হোসেন ও তাঁর সহযোগীদের সরাসরি সম্পৃক্ততা ছিল।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে মনির হোসেনের বাড়ির কাছ থেকে চারটি ককটেল ও তাঁর অফিসকক্ষ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি, একটি ছোরা ও একটি ধারালো চাকু উদ্ধার করে।
কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি মো. আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, মনির হোসেন মামলার প্রধান আসামি এবং ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। গ্রেপ্তার ১৩ জনকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
Leave a comment