মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানীর নাম স্বাধীনতা পুরস্কারের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ার ব্যাখ্যায় সরকার জানিয়েছে, তিনি ১৯৮৫ সালেই এ সম্মাননা পেয়েছিলেন। মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকার শুরুতে তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করলেও, কোনো বাংলাদেশির দুবার দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার পাওয়ার নজির না থাকায় সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়।
এ বছর স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, সাহিত্যে কবি আল মাহমুদ, সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ, সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে ব্যান্ড তারকা আজম খান এবং শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন উমর মনোনীত হয়েছেন।
এছাড়া, এবারই প্রথম ‘প্রতিবাদী তারুণ্য’ ক্যাটাগরিতে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন ছয় বছর আগে ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ।
তালিকায় থাকা সাতজনের মধ্যে ছয়জনই মরণোত্তর পুরস্কার পাচ্ছেন। একমাত্র জীবিত মনোনীত ব্যক্তি বদরুদ্দীন উমর আগেই এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন না।
Leave a comment