এয়ার টিকেটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে সরকার ১০টি নির্দেশনা জারি করেছে, যার মধ্যে রয়েছে টিকেট মজুদ বন্ধ, অনলাইন বিক্রির বাধ্যবাধকতা এবং নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে বিক্রি প্রতিরোধ।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে এই নির্দেশনাগুলো জারি করা হয়। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবাসীদের বিমান টিকেটের উচ্চমূল্য নিয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাওয়ার পর সরকার এই উদ্যোগ নেয়।
এর আগে, বাংলাদেশ ট্র্যাভেল এজেন্টদের সংগঠন (আটাব) অভিযোগ করেছিল যে, কিছু ট্র্যাভেল এজেন্ট ও এয়ারলাইন্স যৌথভাবে সিন্ডিকেট তৈরি করে টিকেটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে, যা প্রবাসীদের ভোগান্তিতে ফেলছে।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী,
✅ টিকেট বুকিংয়ের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইস্যু নিশ্চিত না হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।
✅ গ্রুপ বুকিংয়ের ক্ষেত্রে ৭ দিনের মধ্যে যাত্রীর তথ্য দিয়ে বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে, না হলে তা বাতিল করা হবে।
✅ টিকেট বিক্রির প্রকৃত মূল্য প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
✅ এয়ার টিকেটের অনলাইন বিক্রির বাধ্যবাধকতা থাকবে এবং বিক্রিত টিকেটের মূল্য টিকেটের গায়ে লেখা থাকবে।
✅ কোনো এজেন্ট অতিরিক্ত মজুদ রেখে দাম বাড়ালে তার লাইসেন্স বাতিল হবে।
✅ ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্স ও এজেন্টদের ওয়ার্ক ভিসায় যাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
✅ মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়াগামী শ্রমিকদের টিকেটের ভাড়া কমাতে এয়ারলাইন্সগুলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
✅ অনিবন্ধিত ট্র্যাভেল এজেন্টদের মাধ্যমে টিকেট বিক্রি বন্ধ করতে হবে।
সরকারের এই নির্দেশনার মাধ্যমে এয়ার টিকেটের সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং প্রবাসীদের ভাড়া কমাতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন এর বাস্তবায়নই মূল চ্যালেঞ্জ।
Leave a comment