২১ মার্চ ২০২৫ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় যে, কথিত ‘অ্যান্টিক মেটাল কয়েন’ নিয়ে অভিনব প্রতারণা চক্র পরিচালনার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আদাবর থানায় দায়ের হওয়া মামলার আওতায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে আজ সকাল ৭টার মধ্যে ঢাকায় অভিযানে এ চার আসামিকে ধরা হয়। ইফতেখার আহম্মেদ (৪৪ বছর) ,আবু নাঈম মো. ফাইজানুল হক, ওরফে ডক্টর নাঈম (৪৮ বছর) ,মো. আবদুল হালিম তালুকদার কুরাইশি (৪২ বছর) ,আবুল কালাম আজাদ (৪৬ বছর) , গ্রেপ্তদের কাছ থেকে চারটি কথিত অ্যান্টিক মেটাল কয়েন, ৫০ লাখ টাকার ব্যাংক চেক, নগদ ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও প্রতারণায় ব্যবহৃত ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
তদন্ত অনুযায়ী, আট মাস আগে ইফতেখার আহম্মেদ, মিজানুর রহমান নামক একজন ব্যক্তিকে কয়েন কেনার প্রলোভন দেখানোর মাধ্যমে এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত করেন। ইফতেখার মিজানুরকে বলেছিলেন যে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসায় আছেন এবং জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে এই কয়েন উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা হয়।
গত সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, গুলশানের একটি হোটেলে মিজানুরকে ডেকে এনে ইফতেখার তার দুই সহযোগী নাঈম ও হালিম – এর সঙ্গে তার পরিচয় করান। নাঈমকে বিদেশি কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে পরিচিত করিয়ে দেওয়া হয়, আর হালিমের পরিচয়ে বলেন, তিনি ধাতব মুদ্রার শুদ্ধতা নির্ণয় করেন। । মিজানুর ক্রম ক্রমে প্রথমে ৪৫ লাখ টাকা অগ্রিম দেন, পরবর্তীতে আরও ৭৫ লাখ টাকা নগদ ও ৫০ লাখ টাকার ব্যাংক চেক প্রদান করেন। একসময়ে মিজানুর বুঝতে পারেন যে, প্রদত্ত কয়েনগুলি ভুয়া , এরপর তিনি মামলা করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা ইবনে মিজান বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা বলেছেন, তাঁরা অ্যান্টিক মেটাল কয়েন প্রতারক চক্রের সদস্য। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এই কয়েন কেনার প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতারণা করে আসছেন। তাঁরা তাঁদের অভিনব প্রতারণার ফাঁদে ফেলার জন্য আরও কয়েকজনকে নিশানা করেছিলেন। তাঁদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এই চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
Leave a comment