অন্যায় ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগীতকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আবারও বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আইরিশ হিপহপ ব্যান্ড নিক্যাপ। গত শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী অসলোতে মঞ্চে দাঁড়িয়ে গাজার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান ঘোষণা করে তারা। শুধু বক্তব্যই নয়, নরওয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তোলে ব্যান্ডটি—দেশটির সার্বভৌম তহবিল ‘ওয়েল পেনশন ফান্ড’-এর বিনিয়োগকে ইসরায়েলের গণহত্যায় প্রত্যক্ষ সহায়তা বলে আখ্যা দেয়। শো শুরুর আগেই পর্দায় প্রদর্শিত এক বার্তায় বলা হয়, গত ২১ মাসে ইসরায়েলের হাতে ৮০ হাজারের বেশি নিরপরাধ মানুষ নিহত হয়েছে। এ ঘোষণায় দর্শকেরা করতালি ও উল্লাসে সংহতি জানান।
তবে প্রতিবাদের এই পথ নিক্যাপের জন্য সহজ হয়নি। গত মাসে ‘ইহুদিবিদ্বেষের’ অভিযোগে হাঙ্গেরি সরকার তাদের তিন বছরের জন্য দেশটিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়, ফলে সিগেট ফেস্টিভ্যালে তাদের পারফরম্যান্স বাতিল হয়। ব্যান্ডের ভাষ্য, এই পদক্ষেপ মূলত ফিলিস্তিনপন্থী কণ্ঠস্বর দমনের প্রচেষ্টা। যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও তাদের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের—২০২৪ সালে শিল্প অনুদান বাতিল, আদালতের লড়াই এবং লন্ডনের এক কনসার্টে হিজবুল্লাহর পতাকা প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা—সবই তাদের বিতর্কের কেন্দ্রে রেখেছে। বর্তমানে সদস্য লিয়াম ওগ ও’হান্নাই জামিনে আছেন, শুনানি ২০ আগস্ট।
যুক্তরাষ্ট্রেও তারা সমালোচনার মুখে পড়ে, বিশেষত ক্যালিফোর্নিয়ার এক শো-তে ইসরায়েলবিরোধী বক্তব্যের পর। মার্কিন টিভি তারকা শ্যারন অসবর্ন এমনকি তাদের ভিসা বাতিলের আহ্বান জানান। তা সত্ত্বেও নিক্যাপের অবস্থান অটল—সংগীতের মাধ্যমে দমন-পীড়ন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়া।
Leave a comment