শনিবার (০৫ জুলাই) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দখলদার ইসরায়েলের হামলায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৬৪ ফিলিস্তিনির। সেখানকার হাসপাতাল সূত্রে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
তারা বলেছে, ইসরায়েলি সেনারা গাজার খান ইউনিস, নুসেইরাত এবং গাজা সিটিসহ অন্যান্য জায়গায় হামলা চালিয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এরমধ্যেই তারা গাজার সাধারণ মানুষকে হত্যা করে যাচ্ছে ।
গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করবে দখলদার ইসরায়েল – ট্রাম্পের কাছ থেকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এমন গ্যারান্টি চায়। হামাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প ছাড়া তারা অন্য কারও গ্যারান্টি চান না ।
সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালকে তিনি বলেছেন, “ শুক্রবার মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইতিবাচক জবাব দিয়েছি। নতুন আরেক দফা আলোচনা শুরু হবে শিগগিরই। এতে মূল বিষয়- ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহার এবং যুদ্ধ বন্ধের ওপর জোরারোপ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা যে গ্যারান্টি চাচ্ছি সেটি মার্কিনি- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছ থেকে আসতে হবে। ”
দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতার । হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চার মাস আগে যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যায়। এরপর অসংখ্যবার যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করা হলেও; সেটি সফলতার মুখ দেখেনি। এই ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাস ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। হামাসের একটি সূত্র জানিয়েছেন, নতুন যুদ্ধবিরতিটি কার্যকর হলে ১০ জীবিত এবং ১৮ মৃত ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত দেবেন তারা।
সূত্র: আলজাজিরা, দ্য ন্যাশনাল
Leave a comment