গাজার পশ্চিম তীরের কালকিলিয়ার কাছের জিত গ্রামে ১৯ বছর বয়সি তরুণ জসিম আল-সিদ্দেহ নিজের ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় অভিযানে থাকা দখলদার ইসরায়েলি সেনা গুলি করে হত্যা করেছে তাকে। গত ২৮ মে ভোরবেলা গ্রামটিতে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সোনারা।
এদিকে ইসরায়েলের সেনারা টাইমস অব ইসরায়েলকে ভিন্ন কথা জানিয়েছে। তাদের মতে, ‘ধারালো বস্তু দিয়ে বাহিনীর সদস্যদের আক্রমণ এবং হুমকি দেয়ার চেষ্টা করার পর’ সেনারা গুলি চালিয়ে ‘এক সন্ত্রাসীকে নিষ্ক্রিয়’ করে।
তবে ওই ঘটনা নিয়ে জসিমের পরিবার দাবি করে বলেছে, ১৯ বছর বয়সি জসিম আল-সিদ্দেহ যখন তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। তখন তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর আত্মীয়-স্বজনরা টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, গুলি চালানোর পর সেনারা নিজেদের মধ্যেই তর্ক করছিল। এতে ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো ইসরায়েলি সৈন্যরা নিজেরাই বুঝতে পারেনি যে, কেন তাদের মধ্যে একজন গুলি চালালো।
জসিমের ভাই দারবিশ আল-সিদ্দেহ জানান, সেদিন রাত দেড়টার দিকে যখন পাঁচ সেনা দরজা দিয়ে প্রবেশ করে, তখন তারা এবং তাদের বাবা বাড়িতে একা ছিলেন।
দারবিশ বলেন, ভেতরে ঢুকে তারা কারও সঙ্গে কথা বলেনি এবং সরাসরি সেই ঘরে ঢুকে পড়ে যেখানে জসিম ঘুমাচ্ছিল। আমি প্রচণ্ড গুলির শব্দ শুনতে পাই। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সবকিছু শেষ হয়ে যায়।
তিনি শুনতে পান যে ,পাশের ঘর থেকে গুলি চালানোর পর সেনারা তর্ক করছে। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে (ইসরায়েলি সেনা) একজন হিব্রুতে বলছিল, ‘তুমি কি করছো, পাগল হয়ে গেছো?’
গুলি চালানোর আগে জসিমের কণ্ঠস্বর শুনতে পাননি দারবিশ- এমনকি একটি শব্দও শুনা যায়নি। হয়তো তখনও ঘুমাচ্ছিল জসিম।
দারবিশ জানান, সৈন্যরা গুলি চালানোর পর তাদের অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে বলে। কিন্তু যে ঘরে জসিমকে গুলি করা হয়েছিল সেখানে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে একটি সামরিক জিপে জসিমকে তুলে দেওয়া হয় তারপর তাকে রেড ক্রিসেন্টের একটি অ্যাম্বুলেন্সে হস্তান্তর করে। ফিলিস্তিনের একটি হাসপাতালে জসিমকে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে মৃত ঘোষণা করা হয়।
Leave a comment