গাজার অধিবাসী রংপুর মেডিকেলের শিক্ষার্থী আবু মনসুর মাহমুদ ফিলিস্তিনে ইসরায়েলদের বর্বর হামলায় কাছের বন্ধুসহ ১৭ জন স্বজনকে হারিয়েছেন। গাজার গণহত্যায় দিন দিন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন তিনি, তবুও তিনি চান নিজ জন্মভূমিতে ফিরে আসতে। তার প্রত্যাশা, ফিলিস্তিন দ্রুত স্বাধীন হবে এবং মুসলমানদের জয় হবে।
পড়াশোনার জন্য চার বছর ধরে রংপুরে আছেন ফিলিস্তিনের গাজার অধিবাসী , রংপুর মেডিকেলের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আবু মনসুর মাহমুদ মুসলে ।
এখানে তার সহপাঠী, বন্ধু এবং শিক্ষক শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে দিন পার করছেন। তিনি নিয়মিত ক্লাসও করছেন। কিন্তু প্রতিনিয়ত ইসরায়েলের বর্বর হামলায় তার স্বজন, গ্রামবাসী এবং দেশবাসীকে হারাচ্ছেন। আবু মনসুর জানেন না কবে শেষ হবে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড। যদিও মনসুর ও তার পরিবার ফিলিস্তিনের বাইরে থাকার কারণে নিরাপদে আছেন, কিন্তু তার স্বজন এবং প্রতিবেশীরা ভালো নেই।
আবু মনসুর মাহমুদ বলেন, “পরিস্থিতি মোটেও ভালো নয়। আমি জানি না তারা কিভাবে বেঁচে আছে। আমি একজন ফিলিস্তিনি, আমি কল্পনাও করতে পারি না তারা কী পরিমাণ কষ্ট ভোগ করছে। তবে এত কিছুর পরেও তারা ধৈর্য ধরে আছে এবং স্বাধীনতার জন্য অপেক্ষা করছে।”
মনসুর জানান, কয়েক মাস আগে তার কাছের এক বন্ধু হামলায় নিহত হয়েছে, যে ডাক্তার হতে চেয়েছিল। শুধু তার বন্ধু নয়, এভাবে ফিলিস্তিনিদের সকল স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে দিচ্ছে ইসরায়েল।
বাংলাদেশসহ অধিকাংশ মুসলিম দেশ ফিলিস্তিনের প্রতি যেভাবে সংহতি জানাচ্ছে, তার প্রশংসা করেন মনসুর। তিনি আশা করেন, দ্রুত ফিলিস্তিনে ফিরে গিয়ে যুদ্ধবিগ্রহ ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারবেন।
“আমাদের হৃদয়ের গভীরে বাংলাদেশ রয়েছে। আমরা বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসি কারণ আমরা জানি তারা আমাদের জন্য কী করার চেষ্টা করছে। তারা যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং আমাদের সমর্থন করছে, এটা সত্যি অসাধারণ। আমি নিজের চোখে অনেক বাংলাদেশীকে দেখেছি, যারা ফিলিস্তিনিদের, বিশেষ করে গাজাবাসীদের সাহায্য করার জন্য সবকিছু করতে রাজি”,আবেগাপ্লুত হয়ে মনসুর তার মতামত ব্যক্ত করেছেন ।
Leave a comment