বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিচার, শাস্তি এবং নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, তিনি একে “গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী সংগঠন” হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জনগণ আওয়ামী লীগের “কবর রচনা” করবে। তার মতে, বিচারকার্য শেষে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে এবং তাদের “ডেথ সার্টিফিকেট” দিতে হবে।
ইশরাক হোসেন তার স্ট্যাটাসে আরও বলেছেন, ইশরাক হোসেন তার স্ট্যাটাসে বলেন, “আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিচার, শাস্তি এবং নিষিদ্ধকরণ প্রয়োজন।” তিনি অভিযোগ করেন যে, আওয়ামী লীগ শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করেছে এবং বাংলাদেশের জনগণ এই বেঈমানি কখনোই মেনে নেবে না। তার মতে, আওয়ামী লীগ একটি “গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী সংগঠন”, যা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে গণ্য হওয়ার যোগ্য নয়।
ইশরাক হোসেন আওয়ামী লীগের শাসনামলে রাজনৈতিক নিপীড়ন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ভোট কারচুপির মতো বিষয়গুলির উল্লেখ করে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি একে “ফ্যাসিবাদী” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন এবং বলেন যে, আওয়ামী লীগের শাসন ব্যবস্থায় এক নেতার পূজা, এক দল, এক দেশ এবং সিস্টেম্যাটিক নিপীড়ন প্রমাণিত হয়েছে। তার মতে, আদালতেও এই বিষয়গুলির প্রমাণ পাওয়া যাবে।
ইশরাক হোসেন তার স্ট্যাটাসে আরও মন্তব্য করেন যে, আওয়ামী লীগের সহযোগী দল হিসেবে জাতীয় পার্টিরও শাস্তি হওয়া উচিত, কারণ তাদের গায়ে “রক্তের দাগ” রয়েছে। তিনি বিশেষভাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে আক্রমণ করেন এবং বলেন, “এই গেম কাদের এখন আওয়ামী লীগ বাঁচাতে নেমেছেন।” ইশরাক হোসেন সতর্ক করে দেন যে, এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে জনগণ জিএম কাদেরকে “প্রভুর বাড়ি” পাঠিয়ে দেবে।
সাম্প্রতিক স্ট্যাটাসে, ইশরাক হোসেন আওয়ামী লীগ এবং তাদের সহযোগী দলগুলোকে কঠোরভাবে আক্রমণ করেছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তার মন্তব্যগুলি প্রমাণ করে যে, তিনি সরকার বিরোধী আন্দোলনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
Leave a comment