২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে বনানীর রাস্তা থেকে নিখোঁজ হন সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এম ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার আলী। সেই রাত থেকে তাদের খোঁজ না পাওয়া গেলেও, দীর্ঘ ১৩ বছর পর অবশেষে এ রহস্য উন্মোচনের পথে।
গেল ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গুম-খুনের বিচারের লক্ষ্যে নতুন গুম তদন্ত কমিশন গঠন করে। ইলিয়াস আলীর গুমের ঘটনাটি এখন সেই কমিশনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
গুম কমিশনের অগ্রগতি
কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ইলিয়াস আলী ফিরে আসার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তাকে অপহরণের ক্লু পাওয়া গেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে এবং বিষয়টি আরও বিশদ তদন্তাধীন।
চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের পথে। সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী মার্চের শেষ দিকে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন সরকারে জমা দেওয়া হবে। ইলিয়াস আলীর অপহরণ এবং এর পেছনের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
Leave a comment