পবিত্র রমজান মাসের তৃতীয় শুক্রবারে ইসরাইল কর্তৃক আল-আকসা মসজিদে নামাজের জন্য ফিলিস্তিনিদের প্রবেশাধিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ অনুযায়ী, জেরুজালেমের উত্তরে অবস্থিত কালান্দিয়া চেকপয়েন্টে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ব্যক্তিগত পরিচয়পত্র ও নামাজের অনুমতিপত্র পরীক্ষা করেছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।
উত্তর পশ্চিম তীরের আল-ইয়ামনের ইব্রাহিম আওয়াদ আনাদোলু এজেন্সির (এএ) একজন কর্মী জানান, “আমি চেকপয়েন্টে পৌঁছানোর পর আমার পরিচয়পত্র পরীক্ষা করার পর, কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই আমাকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়।” আওয়াদ বলেন, ‘আমি চলে যাওয়ার পর, আমার ফোনে একটি ম্যাসেজ পেয়েছি যাতে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘উস্কানির’ কারণে আমাকে জেরুজালেমে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।তবে, তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কেবল ভুক্তভোগীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছি।”
৬৭ বছর বয়সী ইসমাইল আবদুল্লাহ হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “আমি এমন পরিস্থিতি কখনও দেখিনি। এটি এক ভয়াবহ পরিস্থিতি – ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনে, জেরুজালেমে কিংবা অন্য কোথাও কাউকে চায় না।” রামাল্লা জেলার বেইত উর আল-তাহতা শহরের আরেক বৃদ্ধ সাদিক মোহাম্মদও বলেন, “আমার বয়সেও আমাকে জেরুজালেমে প্রবেশ এবং আল-আকসায় নামাজ পড়তে বাধা দেয়া হয়েছে, কারণ দাবি করা হচ্ছে যে আমার নামাজের অনুমতি নেই।”
গত ৬ মার্চ ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রমজান মাসে শুক্রবারে আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের প্রবেশের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলেন। নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী, শুধুমাত্র ৫৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ, ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারী এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের অনুমতি থাকবে। তবে, এই প্রবেশাধিকার পূর্ব নির্ধারিত নিরাপত্তা ছাড়পত্র এবং চেকপয়েন্টে পুঙ্খানুপুঙ্খ নিরাপত্তা তল্লাশির ওপর নির্ভর করবে।
Leave a comment