আজকের দিনটি ইতিহাসের পাতায় চিহ্নিত হয়ে আছে নানা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে। ১৫২৬ সালের এই দিনে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহির উদ্দীন মোহাম্মাদ বাবর ভারতবর্ষের সিংহাসনে আরোহণ করেন, যা উপমহাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।
১৫৫৫ সালে জার্মানির অগসবার্গ শহরে এক ঐতিহাসিক কংগ্রেস গঠিত হয়, যা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সমঝোতার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। ১৭০১ সালে ব্রিটেনের নাগরিক জন মরিস ভারতের শক্তিশালী মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যা দুই সাম্রাজ্যের মধ্যকার সম্পর্কের এক দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত।
১৭৭০ সালে বিখ্যাত অভিযাত্রী ক্যাপটেন কুক প্রথমবারের মতো নিউ সাউথ ওয়েলসে পদার্পণ করেন। আর ১৭৮৯ সালের এই দিনেই ব্রিটিশ নৌবাহিনীর ইতিহাসে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা ঘটে—নাবিক ফ্লেচার ক্রিশ্চিয়ানের নেতৃত্বে জাহাজ এইচএমএস বাউন্টি-তে বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।
১৯১৫ সালে লন্ডনে স্বাক্ষরিত এক গোপন চুক্তিতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও রাশিয়া একত্রে ইতালিকে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এর চার বছর পর, ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক সংগঠন “লীগ অব নেশনস”।
১৯৫২ সালে জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আবার সার্বভৌমত্ব ফিরে পায় এবং একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয় পশ্চিম আফ্রিকার দেশ লাইবেরিয়া, যা দেশের আন্তর্জাতিক অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করে।
এছাড়া, ১৯৯২ সালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং একই বছর সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের প্রেক্ষাপটে সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রো নিয়ে নতুন যুগোস্লাভিয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
আজকের দিনটি তাই শুধু একটি তারিখ নয়, বরং ইতিহাসের বহু গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমষ্টি।
Leave a comment