জুন মাসের মাঝামাঝি আসতেই এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ হাজারে। ২০২৩ সালের জুনেও পরিস্থিতি এমন হয়নি। বাংলাদেশের ইতিহাসে সে বছর সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন ডেঙ্গুতে। মৃত্যুও হয়েছিল সবচেয়ে বেশি ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, গতকাল শনিবার আরও ১৬৯ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে । আরও একজনের মৃত্যুর কথাও জানানো হয়েছে। এই নিয়ে এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৫৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী। আর মারা গেছেন ২৯ জন।
গত বছর এই সময়ে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ হাজার ১৯৩ জন। এই সময়ে ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছিলেন ৩৯ জন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০২৩ সালে। আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯। আর মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার ৭০৫ জন। ওই বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮০২। আর ওই সময়ের মধ্যে ২৮ জন মারা গিয়েছিলেন।
সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, তিন বছরের মধ্যে এ বছরের জুনে রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি রোগী বাড়ছে।
প্রায় অন্য সব বছরে দেখা গেছে, ডেঙ্গু প্রকোপ প্রথমে ঢাকা শহরে বা দেশের বড় শহরগুলোতে দেখা দেয়। এরপর তা ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। এ বছর দেখা যাচ্ছে, বেশি রোগী ঢাকা শহরের বাইরের, বিশেষ করে বরিশাল বিভাগে। এর মধ্যে বরগুনা জেলায় রোগী বেশি। দেশের দক্ষিণের এই জেলায় এ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৬০৬ জন রোগী। অন্যদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৫০ জন।
মো. হালিমুর রশীদ ( স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ) বলেন, ‘বরগুনা শহরে ডেঙ্গু বেশি হওয়ার তিন কারণ আপাতত শনাক্ত করতে পেরেছি আমরা। মশা নিধনে পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো কাজ করেনি। শহরে জলাবদ্ধতা আছে। এ ছাড়া বৃষ্টির পানি ধরে রাখে মানুষ। এগুলো মশার বংশ বৃদ্ধিতে সহায়ক।’
Leave a comment