বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জাতীয় নির্বাচন ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপিকে কোনো ধরনের বিরোধে না জড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। ঈদুল আজহার দিন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে তাদেরকে এই পরামর্শ দেন খালেদা জিয়া ।
একইসঙ্গে নির্বাচন ও সংস্কার ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে যেখানে সমস্যা রয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করারও পরামর্শ দেন । এই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বলা হয়েছে যে সমঝোতার ব্যবস্থা করেন। কারণ তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ কী? তারা কি আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী নাকি?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য বলছেন, খালেদা জিয়ার পরামর্শ হচ্ছে- অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে নির্বাচন তারিখ ইস্যুতে বিএনপির বিরোধে যাওয়া ঠিক হবে না। কোনো সমস্যা থাকলে সেটা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে। তাছাড়া ইতোমধ্যে ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা করে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
১৩ জুন ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক, স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তো কোনো বিরোধ ছিল না আমাদের। শুরু থেকে আমরা এই সরকারকে সহযোগিতা করে আসছি। কিন্তু বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানালে এবং অন্যান্য কয়েকটি ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির ওপর কিছুটা নাখোশ হন।
এরমধ্যে আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির এক সদস্য ড. ইউনূসের পদত্যাগের ইস্যুতে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন- তিনি পদত্যাগ করলে জনগণ বিকল্প বেছে নেবে। তার এই বক্তব্যের পর প্রধান উপদেষ্টা বিএনপির ওপর আরও বেশি অসন্তুষ্ট হন।
এই নেতা আরও বলেন, সবকিছু মিলিয়ে যখন বিএনপির সঙ্গে সরকারের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেটা ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) বুঝতে পেরেছেন। যার কারণে সরকারের সঙ্গে বিএনপিকে বিরোধে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বিএনপির নেতারা বলছেন, আগামী ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার ড. ইউনূসের সঙ্গ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে আগামী নির্বাচনের তারিখের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা এতদিন সরকারের সঙ্গে যে এজেন্ডাগুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি, সেগুলো তো দলের স্থায়ী কমিটিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে করেছি। সেখানে সভাপতিত্ব করেছেন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আমরা মনে করি, (ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক) সেই বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে বৈঠকে।
এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ড. এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ইম্পরটেন্ট ইভেন্ট’ হচ্ছে ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক।
Leave a comment