আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, নির্বাচন যদি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হয়, তবে এই সরকারকে “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো” আচরণ করতে হবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন,“নির্বাচনের আগে প্রশাসন যে নিরপেক্ষ, সেই ধারণা জনগণকে দিতে হবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।” তিনি আরও বলেন,“অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হবে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা যেখানে সব রাজনৈতিক দল সমান সুযোগ পায় এবং জনগণ নির্ভয়ে ও নিরপেক্ষভাবে তাদের ভোট দিতে পারে।”
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, প্রশাসনে এখনো এমন অনেকে রয়েছেন, যারা বিগত সরকারের “দোসর” হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বলেন,“আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, যাদের চিহ্নিত ফ্যাসিস্টদের দোসর বলা হয়, তাদের প্রশাসন থেকে সরাতে হবে। সরকারের মধ্যে যদি দলীয় লোক থেকে থাকে, তাদেরও সরিয়ে দিতে হবে।”
এছাড়া তিনি জোর দিয়ে বলেন,“পুলিশের নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই নিরপেক্ষ থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে কোনো নির্বাচনই বিশ্বাসযোগ্য হবে না।”
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির প্রতিনিধিদল। বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ, প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা, এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের সুযোগ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করেছে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার লক্ষ্যে। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে।
Leave a comment