সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ রবিবার মধ্যরাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে মন্তব্য করেছেন যে- দেশে যে অগ্নিসন্ত্রাস, ককটেল বিস্ফোরণ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে, তার মূল উৎস একজন।
পোস্টে সোহেল তাজ উল্লেখ করেছেন, মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টুর লেখা ‘আমার ফাঁসি চাই’ এবং ‘অন্তরালের হত্যাকারী প্রধানমন্ত্রী’ বই দুটি পড়লে বিষয়গুলো আরও পরিষ্কার হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, উক্ত বইগুলোর অডিও সংস্করণ ইউটিউবে বিনামূল্যে শোনা যায়।
তিনি লিখেছেন, “ক্ষমতার লোভ কী—১ লাখ বেলুন নাকি বাসে আগুন?” তার ভাষায়, দেশে গণহত্যা, গুম-খুন, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ, দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এখন সেই টাকার পাহাড়ে বসেই কিছু মহল অরাজকতা সৃষ্টি করছে। উদ্দেশ্য একটাই—নির্বাচন বানচাল করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ ধ্বংস করা।
সোহেল তাজ পোস্টে আরও প্রশ্ন তুলেছেন, আওয়ামী লীগের ভেতরের একটি অংশ কীভাবে এমন শক্তিকে এখনও সমর্থন করে। তিনি বলেছেন, “এটা ভেবে আশ্চর্য লাগে যে এত কিছু জানার পরও কীভাবে আওয়ামী লীগের একটি অংশ ওদেরকে সমর্থন করে। এর মানে একটাই—ওরাই ছিল সুবিধাভোগী; আর এখন তাদের কর্মকাণ্ডের খেসারত দেবে নিরীহ ও নিরপরাধ নেতাকর্মীরা।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সোহেল তাজের এই মন্তব্য দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে, অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সংক্রান্ত এ ধরনের অভিযোগ সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
পোস্টটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছুজন সোহেল তাজের বক্তব্যকে সমর্থন করছেন, অন্যরা বিষয়টি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করছেন। রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সরকারি ও রাজনৈতিক সকল পক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যদিকে, সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীদেরও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
Leave a comment