পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা পৃথক তিনটি দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। প্রতিটি মামলায় তাকে ৭ বছর করে এই সাজা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ অন্যান্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২৩ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হলে আদালত ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
পূর্বাচল প্রকল্পে ১০ কাঠা সরকারি প্লট অবৈধভাবে বরাদ্দ গ্রহণের অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
একই প্রকল্পে আরও ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে একই দিনে দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান বাদী হয়ে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।তদন্ত শেষে ১০ মার্চ চার্জশিটে মোট ১৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলায় ২৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।
রাজধানীর পূর্বাচলে ১০ কাঠার প্লট জালিয়াতি সংক্রান্ত আরেক মামলায় দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ অভিযুক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ জনে। গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ তিন মামলাতেই অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু করেন। কয়েক মাসের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার তিন মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
Leave a comment