আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে রোববার গভীর রাতে ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যার ফলে অন্তত সাত জন নিহত এবং ১৫০ জন আহত হয়েছেন। খোলমের হিন্দুকুষ অঞ্চলের মাজার-ই-শরীফ শহরের কাছে ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঘটেছে, যা ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার গভীরে সংঘটিত হয়েছে।
গভীর রাতে আঘাত হানার কারণে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। ভূমিকম্পের ফলে শহরের কিছু অংশ ধ্বংস হয়েছে এবং বিভিন্ন স্থানে ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়েছেন। রাত থেকেই উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। যদিও, নিহত ও আহতের সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আফগানিস্তান হলো ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ, বিশেষ করে হিন্দুকুষ অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকা। এই অঞ্চলে ইউরেশিয়ান এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থল থাকার কারণে প্রায় সময় ছোট-বড় ভূমিকম্প ঘটে।
চলতি বছরের ৩১ আগস্টে আফগানিস্তানে ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ২,২০০ এর বেশি মানুষ নিহত হয়, যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হিসেবে ধরা হয়। ২০২৩ সালে হেরাত অঞ্চলে ভূমিকম্পে দেড় হাজার মানুষ নিহত এবং প্রায় ৬৩,০০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। স্থানীয়রা জানান, ভূমিকম্পের সময় তারা আতঙ্কিত হয়ে রাতভর নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
মাজার-ই-শরীফের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা ও যোগাযোগ অবরুদ্ধ হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা ধীরগতিতে চলছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতালগুলো আহতদের চিকিৎসা প্রদানে ব্যস্ত। স্থানীয়রা জানান, ভূমিকম্পের কারণে বাড়িঘর ধ্বংস হওয়ায় অনেক মানুষ রাতভর খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আফগানিস্তান ভূমিকম্পের জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ, যেখানে নিয়মিত ক্ষুদ্র ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে।
                                                                        
                                                                        
                            
                            
                                
			            
			            
 
			        
 
			        
 
			        
 
			        
				            
				            
				            
Leave a comment