ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় নিজ ঘর থেকে মাহবুবুর রহমান খান টিটু (৫৫) নামে এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
মৃত মাহবুবুর রহমান খান টিটু ওই এলাকার মহিউদ্দিন খাঁনের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে একাই ওই বাসায় বসবাস করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার (২৭ অক্টোবর) টিটুর সঙ্গে তার এক বোনের শেষবারের মতো মোবাইল ফোনে কথা হয়। এরপর থেকে তিনি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
বৃহস্পতিবার সকালে তার বোন ভাইয়ের খোঁজ নিতে বাসায় গেলে প্রতিবেশীরা জানান, ঘর থেকে তীব্র দুর্গন্ধ আসছে। সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। একজন স্থানীয় বলেন,“ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। কয়েক দিন ধরেই দুর্গন্ধ পাচ্ছিলাম, কিন্তু নিশ্চিত ছিলাম না। আজ সকালে পরিবারের লোক আসলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই মো. ওয়ামিস) বলেন,“সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, তিন থেকে চার দিন আগেই তিনি মারা গেছেন। মরদেহে প্রচণ্ড পচন ধরেছে।” তিনি আরও জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।
পূর্ব মেড্ডা এলাকার বাসিন্দারা জানান, টিটু শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন । কয়েক বছর আগে স্ত্রী ও সন্তান বিদেশে চলে যাওয়ার পর থেকেই তিনি একা বাসায় থাকতেন। স্থানীয়দের মতে, শারীরিক অসুস্থতা বা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণেই হয়তো তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনাস্থলে কোনো সংঘর্ষ বা রক্তাক্ত চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।
 
                                                                         
                                                                         
                             
                             
                                 
			             
			             
 
			         
 
			         
 
			         
 
			         
				             
				             
				            
Leave a comment