দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর কয়েক মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পর্ক নাটকীয়ভাবে খারাপের দিকে গিয়েছে। একসময় যাঁরা একে অপরকে ‘বন্ধু’ বলে অভিহিত করতেন, এখন তাঁদের মধ্যে দীর্ঘ সময় ফোনালাপও হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, বাণিজ্য নিয়ে বিরোধ, কাশ্মীর সংকটকে কেন্দ্র করে ট্রাম্পের মধ্যস্থতার দাবি এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার ইঙ্গিত এই অবনতির প্রধান কারণ। ট্রাম্প ভারতের পণ্যের ওপর শুল্কহার বাড়িয়ে দিয়েছেন, বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করেছেন এবং ভারত সফরের পরিকল্পনাও বাতিল করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি শুরুতে ট্রাম্পকে খুশি রাখতে চেষ্টা করেছিলেন—ওয়াশিংটনে গিয়ে অস্ত্র ও জ্বালানি কেনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু কাশ্মীর ইস্যুতে ট্রাম্পের ‘শান্তিদূত’ ভূমিকা নয়াদিল্লির জন্য ছিল অস্বস্তিকর। কারণ, ভারত বরাবরই বলে এসেছে কাশ্মীর দ্বিপক্ষীয় বিষয়, কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা নয়।
ট্রাম্পের অবস্থানে পাকিস্তান উৎসাহিত হলেও ভারত ক্ষুব্ধ হয়। শেষ পর্যন্ত মোদি তাঁর প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন। এর পর থেকে দুই নেতার মধ্যে যোগাযোগ কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় নয়াদিল্লি এখন রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করছে। তবে রাশিয়া আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে এবং চীনের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনার ইতিহাস থাকায় ভারত বড় ধরনের কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, ট্রাম্পের মনোভাব পরিবর্তন না হলে ভারতের সামনে আসন্ন বছরগুলো আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
Leave a comment