রাশিয়া থেকে তেল কিনছে এমন দেশগুলোর ওপর শুল্ক আরোপে মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার জি–৭ভুক্ত দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীদের ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্ব পায়। আলোচনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে তাকে সহায়তা করছে এমন দেশগুলোর ওপর সম্ভাব্য শুল্ক নিয়েও কথা হয়।
কানাডার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর জানানো হয়, জব্দ করা রুশ সম্পদ ইউক্রেনের প্রতিরক্ষায় ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা শুরুতে একমত হয়েছেন অর্থমন্ত্রীরা। একই সঙ্গে রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে নতুন অর্থনৈতিক পদক্ষেপের কথাও ওঠে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনছে এমন দেশগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্র যেমন শুল্ক দিয়েছে, তেমনি জি–৭ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোকেও একই পথে হাঁটতে হবে। এর আগে ট্রাম্প ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়ে মোট শুল্কহার ৫০ শতাংশে উন্নীত করেছেন। লক্ষ্য, নয়াদিল্লিকে ছাড়মূল্যে রুশ তেল কেনা থেকে বিরত করা।
তবে চীনের ক্ষেত্রে ভিন্ন কৌশল নিয়েছেন ট্রাম্প। বেইজিং রুশ তেল কিনলেও তার পণ্যে নতুন শুল্ক আরোপ করেননি, কারণ ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সূক্ষ্ম বাণিজ্য সমঝোতা চলছে। আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
ট্রাম্প ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, পুতিনকে নিয়ে তাঁর ধৈর্য ফুরিয়ে আসছে। তবে তিনি সরাসরি নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেননি। তার মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে হলে পশ্চিমা দেশগুলোকেও আরও কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
Leave a comment