বাংলাদেশি ওয়েব কনটেন্টে থ্রিলার ও হরর ঘরানার কাজ মানেই ভিকি জাহেদের ভেলকি । একের পর এক সফল নাটক ও ওয়েব সিরিজ উপহার দেওয়ার পর এই নির্মাতা এবার হাজির হচ্ছেন নতুন ওয়েব সিরিজ ‘খোয়াবনামা’ নিয়ে। মুক্তির আগেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে এটি, বিশেষত একটি দুঃসাহসিক শুটিং দৃশ্যের কারণে।
সিরিজটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া পোস্টারে নীল ও কালো রঙের হরর আবহে দেখা যায়—কবরের মধ্যে শায়িত একটি লাশ, যাকে ঘিরে রয়েছে বিষধর সাপ। পোস্টারের সেই শীতল শিহরণ সৃষ্টিকারী ভিজ্যুয়াল দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল জাগিয়েছে।
এরপর অভিনেতা তৌসিফ নিজেই শুটিংয়ের একটি ভিডিও শেয়ার করেন। সেখানে দেখা যায়, কবরের মতো একটি গর্তে সাদা কাপড়ে মোড়া অবস্থায় শুয়ে আছেন তিনি। এক নারী সাপুড়ে তার শরীরে একের পর এক জীবন্ত সাপ ছেড়ে দিচ্ছেন। পোস্টের ক্যাপশনে তিনি লেখেন—“খোয়াবনামা এবং ৬টি সাপ।” যদিও ধারণা করা হচ্ছে, ব্যবহৃত সাপগুলো বিষধর প্রজাতির হলেও আদতে বিষহীন ছিল, দৃশ্যটিতে অভিনয় করেছেন তৌসিফ নিজেই।
দৃশ্যটি নিয়ে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া তুমুল। কেউ লিখেছেন, “তৌসিফের সাহস সত্যিই শিহরণ জাগানো!” আবার কেউ মন্তব্য করেছেন, “বাংলাদেশে এই প্রথম এমন হরর দৃশ্য দেখা যাবে যা বাস্তবিক।”
এই প্রতিক্রিয়ায় উচ্ছ্বসিত নির্মাতা ভিকি জাহেদ ঢাকা পোস্ট-কে বলেন, “আমি সবসময় চাই বাস্তব উপাদান ব্যবহার করতে। ভিএফএক্স ব্যবহার করলে হয়তো এত সাড়া পেতাম না। তাই বাস্তব দৃশ্য ধারণ করেছি, যা দর্শকদের ওপর প্রভাব ফেলবে।”
তিনি আরও জানান, কবরের দৃশ্যে কোনো ডামি ব্যবহার করা হয়নি। “তৌসিফ ভাইকে যখন বললাম, প্রথমে কিছুটা ভয় পেয়েছিলেন। তবে আমি আগে ওনার সঙ্গে কাজ করেছি, তাই বোঝানোর পর রাজি হয়ে যান। তিনি নিজেই এ দৃশ্যে অংশ নেন, এটা সত্যিই দুঃসাহসিক ছিল।”
খোয়াবনামা-তে তৌসিফ মাহবুবের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন তানজিন তিশা। ওয়েব সিরিজটি শিগগিরই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং এটি বাংলাদেশের হরর কনটেন্টে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে দর্শক ও নির্মাতারা মনে করছেন।
                                                                        
                                                                        
                            
                            
                                
			            
			            
 
			        
 
			        
 
			        
 
			        
				            
				            
				            
Leave a comment