গাজীপুরের শ্রীপুরে সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া লামিয়া আক্তার (১৯) নামের এক তরুণীর মরদেহ ২৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার নান্দিয়াসাঙ্গুন গ্রামের সুতিয়া, ব্রহ্মপুত্র ও বানার নদীর মিলনস্থল ত্রিমোহনায় মরদেহটি ভেসে ওঠে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, লামিয়া আক্তার নান্দিয়াসাঙ্গুন গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে এবং ময়মনসিংহের পাগলা থানার ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন কলেজের এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একই গ্রামের ত্রিমোহিনী সেতু থেকে সুতিয়া নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। ঝাঁপ দেওয়ার কিছুক্ষণ পর তাঁর জুতা সেতুর ওপর পাওয়া যায়, যা দেখে স্বজনেরা তাঁকে শনাক্ত করেন।
ঘটনার পরপরই স্থানীয় কয়েকজন তাঁকে উদ্ধারের জন্য নদীতে নামলেও স্রোতের কারণে তাঁকে নাগাল পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দুপুর ২টা থেকে টানা অনুসন্ধান শুরু করে। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে নদীর পানিতে মাছ ধরার জন্য ফেলা গাছের ডালপালায় আটকে থাকা লাশটি উদ্ধার হয়।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি মো. ইদ্রিস আলী জানান, মরদেহটি সেতু থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে তিন নদীর মোহনায় পাওয়া গেছে। লামিয়ার বাড়িতে তাঁর ডায়েরিতে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ, যার বিষয়বস্তু এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল বারিক বলেন, মরদেহ উদ্ধার হয়েছে এবং চিরকুটের বিষয়টি টঙ্গী নৌ পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ঘটনার কারণ নিয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা বলছেন, হঠাৎ এমন পদক্ষেপে তাঁরা হতবাক এবং চিরকুটের বিষয়টি প্রকাশ পেলে হয়তো ঘটনার পেছনের কারণ জানা যাবে।
Leave a comment