রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ অফিস সহকারী মাসুমা (৩৮) মারা গেছেন। শনিবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৫ জনে।
মাসুমার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল এবং তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তাঁর বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় হলেও তিনি স্বামী সেলিম, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তুরাগের নয়ানগর শুক্রভাঙ্গা এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এ দুর্ঘটনায় ৩২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। এরপর বিকেলে মাকিন (১৩) নামের এক শিক্ষার্থী এবং শনিবার সকালে জারিফ ফারহান ও মাসুমার মৃত্যুর খবরে মৃতের সংখ্যা বাড়ে।
মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহতদের মধ্যে রয়েছে ২০ শিক্ষার্থী, ২ শিক্ষক এবং ২ জন অভিভাবক। সোমবার দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে এখনও ৫০-এর অধিক বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিমানের এই দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। দেশের সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে আহত ও নিহতদের জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
এ দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে ভারত, পাকিস্তান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, সুইজারল্যান্ডসহ বিশ্বের নানা দেশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত শোকবার্তায় তাঁরা বাংলাদেশের এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার তদন্তে এরই মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের বোর্ড গঠন করা হয়েছে এবং দায়ী কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
Leave a comment