নরসিংদী জেলা আদালতে লোডশেডিং চলাকালে কাঠগড়া থেকে পালিয়ে গেছেন এক আসামি। সোমবার দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত আক্তার শিফার আদালতে শুনানি চলার সময় এই ঘটনা ঘটে। পালিয়ে যাওয়া ওই আসামির নাম রিয়াজুল ইসলাম ওরফে হৃদয় (২৫)। তিনি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রায়পুরায় অটোরিকশা চুরির একটি মামলায় গ্রেপ্তার হন রিয়াজুল। গত ৭ জুলাই তাঁকে গ্রেপ্তার করে রায়পুরা থানা-পুলিশ। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মামলার শুনানির জন্য তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানিকালে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে অন্ধকারে সুযোগ বুঝে কাঠগড়া থেকে বেরিয়ে যান রিয়াজুল। আদালত চত্বরে থাকা পুলিশ সদস্যদের অগোচরে তিনি মূল ফটকের দিক দিয়ে পালিয়ে যান বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
আসামি পালানোর পরপরই আদালত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং পুলিশের একাধিক ইউনিট আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। তবে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাইরুল ইসলাম বলেন, “আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি। আশপাশের থানাসমূহ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তাঁকে আটকের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে।”
হঠাৎ লোডশেডিং ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থার ঘাটতিকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় আইনজীবীরা এ ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন।
রিয়াজুল ইসলাম কীভাবে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেলেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোথায় ত্রুটি ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Leave a comment