ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন ১৫ হাজার ইসরায়েলি । ওই সময় বিভিন্ন হোটেলে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় দেওয়া হয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ শনিবার (৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে।
রাডার ডেটার বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়, দৃশ্যত পাঁচটি ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আঘাত করেছে। ইসরায়েলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ হামলাগুলোর কথা প্রকাশ করেনি । এ ছাড়া ইসরায়েলের অভ্যন্তরে সামরিক বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়নি।
গত ১৩ জুন ভোরে ইরানে বিমান হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে ইসরায়েল দেশটির সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করে। প্রায় দুই সপ্তাহের এ সংঘাত শেষে উভয় পক্ষই নিজেদের বিজয়ী দাবি করে। রাডারের ডেটার ভিত্তিতে তৈরি প্রতিবেদন দেশ দুটির মধ্যে বাকযুদ্ধকে নতুন করে উসকে দিতে পারে।
সংবাদমাধ্যমটির হাতে আসা ডেটা অনুযায়ী, ইরানের ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র পাঁচটি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে। এসব স্থাপনা ইসরায়েলের উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- একটি বড় বিমান ঘাঁটি, একটি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ কেন্দ্র ও একটি লজিস্টিক ঘাঁটি ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) টেলিগ্রাফকে জানায়, ইসরায়েল কী পরিমাণ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে কিংবা দেশটির ঘাঁটিগুলো কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে তাদের মন্তব্য নেই। টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী,ইসরায়েলের তেল ও বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে সাতটি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে । ইসরায়েলের অন্যতম শীর্ষ বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র ‘ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউটের’ একাংশ ধ্বংস হয়েছে।
ইরানের হামলায় বে’র শেবার বেন-গুরিয়ন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের কাছে সোরোকা ইউনিভার্সিটি র মেডিক্যাল সেন্টারের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। ব্যাপক সংখ্যায় ভবন থাকা সাতটি আবাসিক এলাকায় ইরানি হামলায় ঘরবাড়ি হারিয়েছে ১৫ হাজারের বেশি ইসরায়েলি।
Leave a comment