চুরি হওয়া গহনা পরে টিকটক করছিলেন স্ত্রী। সেটি দেখে কুমিল্লার দেবিদ্বার থানা পুলিশ তার স্বামী মো. সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করে।
আদালতের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে তাকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হবে। এর আগে, বুধবার (২ জুলাই) ভোরে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় সোহেল মিয়াকে ।
গ্রেফতারকৃত মো. সোহেল মিয়া কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চন্দ্রনাইল গ্রামের প্রয়াত আব্দুর রবের ছেলে।
দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে মো. সোহেল মিয়া এলাকার সোনার দোকান চিহ্নিত করে তার সিন্ডিকেটের সহায়তায় চুরি করে আসছিলেন। তার স্ত্রী শাহীন আক্তার শাহীন টিকটক করতেন। সোহেলের মোবাইল ট্র্যাক করে দেখা যায়, তার স্ত্রী ওই চুরি করা সোনার গহনা পরে টিকটক করছিলেন। পরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় সোহেলকে।
গত ১৬ মে দেবিদ্বার নিউমার্কেট কলেজ রোডের বারেক প্লাজার পূর্ব গলির খাদিজা শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী মো. জাকির হোসেন জুমার নামাজ শেষে দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন তার দোকানের তালা নেই। ভেতরে ঢুকে দেখেন ৪০ ভরি সোনার গহনা চুরি হয়ে গেছে।
ওইদিন সন্ধ্যায় চুরি করা সোনা কুমিল্লার ইপিজেডের একটি দোকানে বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন আবু তাহের (৩০) ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার (২৫) । তাদের জিজ্ঞাসাবাদে মুরাদনগর থেকে সোনা চোর সিন্ডিকেটের প্রধান আবুল কাসেম আটক হন। আদালতে তাদের জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসে ওই চোর সিন্ডিকেটের অপর সদস্য মো. সোহেল মিয়ার নাম।
দেবিদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, সোহেলসহ সোনা চোরাচালানি চক্রের চার সদস্যকে আটক করা হয়েছে। সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আদালতের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে তাকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হবে ।
Leave a comment