রাজধানীর খুচরা বাজারে বেড়েছে প্রায় প্রতিটি সবজিরই দাম । দাম বেশি বাড়ার তালিকায় আছে টমেটো, বরবটি, বেগুন, কাঁকরোল, করলা। এদিকে, ঊর্ধ্বমুখী চালের দামও—কেজিপ্রতি ২ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে স্থিতিশীল রয়েছে ডিম ও মুরগির দাম ।
দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়, গোল বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, লাউয়ের পিস ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, কুমড়া পিসপ্রতি ৫০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়াও বরবটি প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, ঝিঙা প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৮০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকায়, টমেটো প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ঈদের পর থেকেই চালের বাজারও চড়া। বর্তমানে খুচরা মোটা চাল (বিআর-২৮, পারিজা) মানভেদে কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, সরু চালের মধ্যে জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৪ থেকে ৭৮ টাকা, মিনিকেট ৮২ থেকে ৮৫ টাকা এবং কাটারিভোগ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অলিগলির ছোট ছোট মুদি দোকানগুলোতে চালের দাম এর থেকেও কিছুটা বেশি দেখা গেছে।
মুরগি বাজারে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের ডজন ১২০ থেকে ১২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলেন, ঈদের পর থেকে একটা বিষয়ে স্বস্তি লাগছে, সেটা হচ্ছে সবসময়ই ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকার কাছাকাছি থাকে। কিন্তু এখন দেড়শ’ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। যদি সবসময় এমন দাম থাকতো, তাহলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তের জন্য কিছুটা স্বস্তি কাজ করতো।
নয়াবাজারের পাইকারি চাল বিক্রেতারা বলেন, ধানের দাম বাড়ার অজুহাতে বস্তাপ্রতি ২০০ টাকা পর্যন্ত চালের দাম বাড়িয়েছে মিল মালিকরা। বাড়তি দামে চাল কিনতে হচ্ছে আমাদের । তাই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। সরকার যদি মিল মালিকদের জবাবদিহির আওতায় আনতে পারে, তাহলে উন্মোচন করা যাবে দাম বৃদ্ধির রহস্য ।
Leave a comment