ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির পর আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, যুদ্ধ শুরু হলো। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে তিনি এই বার্তা দিয়েছেন বলে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে।
খামেনির এই বার্তাটি এমন এক সময় এসেছে, যখন ট্রাম্প ইরানের শীর্ষ নেতাকে নিয়ে একাধিকবার মন্তব্য করেছেন।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে , মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে হত্যার হুমকি দেওয়ার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি প্রথমবারের মতো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি বার্তায় তিনি লিখেছেন, মর্যাদাবান হায়দারের নামে, শুরু হলো যুদ্ধ।
প্রসঙ্গত, ‘হায়দার’ হচ্ছে ইসলামের চতুর্থ খলিফা ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর চাচাতো ভাই ইমাম আলী (রা.)-এর আরেক নাম। ইরানসহ শিয়া মুসলিমরা তাদের প্রথম ইমাম হিসেবে মানেন তাকে।
ট্রাম্পের হুমকি সত্ত্বেও আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরায়েলের আক্রমণের কঠোর প্রতিশোধ নেবে ইরান।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এক্সে লিখেছেন, সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দিতে হবে আমাদের। ইহুদিবাদীদের কোনও দয়া দেখাব না আমরা।
এর আগে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বিষয়ে ইঙ্গিত করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বলেছেন, তথাকথিত ‘সর্বোচ্চ নেতা’ কোথায় লুকিয়ে আছেন আমরা ঠিক জানি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি সহজ লক্ষ্যবস্তু, কিন্তু সেখানে নিরাপদ – আমরা তাকে বের করে (হত্যা!) আনবো না, অন্তত এখনই নয়। কিন্তু আমরা চাই না বেসামরিক নাগরিক বা আমেরিকান সৈন্যদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ হোক। আমাদের ধৈর্য ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।
এরও কিছুক্ষণ আগে দেওয়া আরেক পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমাদের নিয়ন্ত্রণে ইরানের আকাশসীমা। এই পোস্ট দুটির পরপরই তৃতীয় আরেকটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, আনকন্ডিশনাল সারেন্ডার! (নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ!)।
Leave a comment