সাম্প্রতিক সময়ে দেশে আবারও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে। ফলে স্বাস্থ্য অধিদফতর নতুন করে আবারও করোনা পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মো. আবু জাফর জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে দেশে এসেছে ২৮ হাজার কিট বুধবার (১১ জুন) দুপুরে দেশের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
মো. আবু জাফর বলেন, আমরা ইতিমধ্যে টিকার কিট সংগ্রহ করেছি। যেখানে আর্টিফিশিয়ালি হয় সেখানে এখনো পরীক্ষা হচ্ছে। এ জন্য আমরা যথেষ্ট সংখ্যক কিট সংগ্রহ করেছি। র্যাপিড এন্ডিজেন্ট কিট এসেছে ২৮ হাজার। আজকের মধ্যেই আরও ১০ হাজার আর্টিফিশিয়াল এন্টিজেন্ট কিট আমরা পাবো। এছাড়া আমরা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছি, আশা করছি কিটের জন্য কোনো সমস্যা হবে না।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, প্রাথমিকভাবে সব ধরনের রোগীর করোনা পরীক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র যাদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা অন্যান্য উপসর্গ রয়েছে এবং যারা জটিল অবস্থায় রয়েছে, তারাই করোনা পরীক্ষা করাবে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন চলমান রয়েছে। যাদের কখনোই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি অবশ্যই তাদের ভ্যাকসিন নিতে হবে। বিশেষ করে ১৮ বছরের উপরে যারা, ‘ডিফারেন্ট কন্টাক্ট পারসনের’ (বিভিন্ন ব্যক্তিদের) সঙ্গে কাজ করেন, প্রেগনেন্ট উইমেন (অন্তঃসত্ত্বা নারী) তাদের ভ্যাকসিন দিতে হবে। আর পুরাতনদের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি।
দেশে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আরও বলেন, জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত যেমন ছিল, এখনো কিন্তু একই রকম আছে। ১২ থেকে ১৩ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। সবশেষ মঙ্গলবার (১০ জুন) ১০১ জনের করোনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন (সোমবার) ৪১ জনের মধ্যে ৫ জনের করোনা ধরা পড়েছে। এই হার কিন্তু আশপাশের অন্যান্য দেশের তুলনায় কম।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মো. আবু জাফর বলেন, যেহেতু পাশের দেশগুলোয় কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে, তাই সরকারের দায়িত্ব হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে এবং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
Leave a comment