সৌদি আরবসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুর জেলার ৪০টি গ্রামে মানুষ ঈদ উদযাপন করেছে । শুক্রবার (৬ জুন) সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলবসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা আরব দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রায় ৯৫ বছর ধরে ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এ ছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেন।
আজ থেকেই ঈদুল আজহাকে ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী জানিয়েছেন, ঈদ উদযাপনের সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ১৯২৮ সালে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়।
সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ পালনের উদ্যোগ নেওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে । ওই বছরই তিনি ফিরে আসেন নিজ গ্রাম সাদ্রায় । পরে তিনি দরবার শরীফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর থেকে তিনি সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেন।
Leave a comment