৩০ মে, গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর এক হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় ডা. আলা-নাজ্জার পরিবার।সন্দেহভাজন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছিল, এমনটাই দাবি ইসরায়েলের। তবে বাস্তবতা হলো, ৯ শিশু প্রাণ হারায়, আরেক শিশু এখনও লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে।
গাজার আল-নাসর হাসপাতালে কর্মরত একজন শিশু বিশেষজ্ঞ হলেন ডা. আল-নাজ্জার । জীবনভর কাজ করেছেন অন্যের শিশুকে সুস্থ করে তোলার জন্য। কিন্তু নিজের সন্তানদের তিনি বাঁচাতে পারলেন না। এই নির্মমতা, এই শোক বর্ণনা করা যায় না, শুধু অনুভব করা যায়।
তার স্বামী হামদি ও একই হাসপাতালে কাজ করতেন। হামলার দিন তিনি তার স্ত্রীকে কাজে দিয়ে বাসায় ফিরে যাওয়ার পর ইসরায়েলের হামলার শিকার হন। ১০ সন্তান নিয়ে বাড়িতে থাকার সময়ই হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় বাড়ি। ১০ সন্তানের মধ্যে ৯ জনই মারা যায়। মৃত সন্তানদের সবারই বয়স ছিল ৬-১২ বছরের মধ্যে।
হামদি আল-নাজ্জার গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তাকে এবং তার ১১ বছর বয়সী এক সন্তানকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হামদির মস্তিষ্ক এবং অভ্যন্তরীন ক্ষতের চিকিৎসা চলছিল। নাসের হাসপাতালে কাজ করা বুলগেরীয় এক চিকিৎসক গত সপ্তাহে বিবিসি-কে বলেন, আদমের বাবা হামদির ব্রেইন, ফুসফুস, ডান হাত এবং কিডনি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তার চিকিৎসা চলার মাঝেই গত শনিবার তিনি মারা যান।
এখন কেবল আলা আল-নাজ্জার আর তার ১১ বছর বয়সী ছেলে আদম- এই দুইজনই বেঁচে। হাসপাতালে আদমের চিকিৎসা চলছে। আদমের চাচার অনুরোধে ইতালি সরকার তার চিকিৎসা করতে রাজি হয়েছে। নাসের হাসপাতালে আদমের চিকিৎসা করা এক ব্রিটিশ সার্জন ইসরায়েলের হামলায় নাজ্জারের প্রায় পুরো পরিবার হারানোর এই ঘটনাকে অত্যন্ত নির্মম বলে বর্ণনা করেছেন।
Leave a comment