প্রতিবেশী দেশ ভারতে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনাভাইরাস। গত কয়েক সপ্তাহে দেশজুড়ে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে বর্তমানে ১ হাজার ৯ জনের শরীরে সক্রিয় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
বিশেষ করে কেরালা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে। দিল্লিতে গত সপ্তাহেই রিপোর্ট করা হয়েছে ১০৪টি নতুন সংক্রমণ। একই সময়ে কেরালায় ৪৩০ জন এবং মহারাষ্ট্রে ২০৯ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে ভালো খবর এই যে, —বেশিরভাগ সংক্রমণই হালকা এবং রোগীরা হোম আইসোলেশনে থেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গে ১২ জন, রাজস্থানে ১৩ জন, উত্তরপ্রদেশে ১৫ জন, তামিলনাড়ুতে ৬৯ জন, কর্ণাটকে ৪৭ জন এবং গুজরাটে ৮৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে আতঙ্কের কিছু নেই এই আশ্বাস দিয়ে, ভারতের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (ICMR)-এর মহাপরিচালক ড. রাজীব বেহল বলছেন , “বর্তমান সংক্রমণগুলো ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্ট LF.7, XFG, JN.1 এবং NB.1.8.1 সিরিজভুক্ত। এই ভেরিয়েন্টগুলো গুরুতর নয়। রোগীদের গুরুতর উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না এবং হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনও কম।”
তিনি আরও জানান, দক্ষিণ ভারত থেকে সংক্রমণের সূত্রপাত হলেও তা এখন পশ্চিম ও উত্তর ভারতেও ছড়িয়ে পড়ছে। দেশজুড়ে ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভেইলেন্স প্রোগ্রামের আওতায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
তবে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে সতর্ক থাকা জরুরি। সকলের উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ।”
পরিবর্তিত আবহাওয়া ও জনসমাগম বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণ কিছুটা বাড়ছে। তবে সঠিক নজরদারি ও সময়মতো প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
Leave a comment