অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার পক্ষে ভূমিকা রেখেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা রাজপথ সব জায়গায় তিনি ছিলেন সরব। কিন্তু বাঁধনের এই সরব থাকা নিয়ে উদয় হয়েছে নতুন প্রশ্নের। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাঁধনকে নিয়ে অভিযোগ উঠেছে যে , তিনি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট!
রোববার (২৫ মে) এ প্রসঙ্গে, নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাঁধন। এ অভিনেত্রীর দেওয়া ফেসবুক পোস্টটি পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো-
রোববার ফেসবুকে এক পোস্টে বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি লিখেন, “আবারো ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম, কী দারুণ এক যাত্রা!”-
বাঁধন লিখেছেন, ”২০২১ সালে আমি একজন গর্বিত ‘র’ এজেন্ট ছিলাম; তবে সেটা বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত বলিউড ছবি ‘খুফিয়া’-তে। ওই সিনেমায় আমার সহশিল্পী ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী টাবু, যারা দেখেননি দেখে ফেলেন! ওটিটি ফ্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সে আছে।”
অভিনেত্রী বাঁধন আরও লিখেছেন, “ওই সিনেমায় অভিনয়ের পর ঘটনা নতুন মোড় নেয়। আমি ‘খুফিয়া’ ছবির প্রিমিয়ারে পর্যন্ত যেতে পারিনি। কারণ, ভারতীয় হাইকমিশন আমার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল; একবার নয়, পাঁচবার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরের (নুরুল হক নুর) সঙ্গে আমার একটা ছবি দেখে ভারতীয় হাইকমিশন খুব চিন্তিত ছিল। ছবিটি আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলাম। শেষমেশ, ভিসার জন্য দেশের পরিচিত প্রভাবশালী মানুষদের সাহায্য নিতে হয়। হাই প্রোফাইল কিছু লোকজনের হাসাহাসির মাঝেই এক মাসের সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসা পাই।”
তিনি আক্ষেপ করে লিখেন , “দুই প্রভাবশালী সূত্র থেকে জেনেছি, সিনেমার অন্যতম একজন নায়িকা আমার ভিসা জটিলতায় জড়িত ছিলেন। সে ব্যক্তি কে, তা অনুমান করা যেতে পারে! ভিসা জটিলতার কারণে টালিউড এবং বলিউডে অনেক ভালো কাজের সুযোগ হারিয়ে ফেলি। তবে থেমে থাকিনি।”
“জুলাই মাসের আন্দোলনের সময় আমাকে বলা হলো সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)-এর এজেন্ট। আমি নাকি ইউএসএআইডি থেকে টাকা নিয়ে ‘ঐতিহাসিক বিপ্লব’ চালিয়েছি। তারপর হলাম জামায়াতের এজেন্ট। কারণ, আমি তাদের এক নেতার ভিডিও আমার পেজে শেয়ার করেছিলাম।
পরিশেষে বাঁধন লিখেন, আমার এক বন্ধু বলল, আমি নাকি মোসাদের হয়েও কাজ করছি। আর গতকাল রাতে আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম! বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠ একজন আমার কাছে সিরিয়াসভাবে জিজ্ঞেস করে বসল, “টাকা খাইছো নাকি?’ আমাদের কী দারুণ একটা সমাজ! যে ব্যক্তি দেশকে ভালোবাসে না, সে ভাবে আর কেউ দেশকে ভালোবাসতে পারে না। এই লেখাটা আসলে মজা করে বলা, আরাম কর, হাসো আর একটু ভাবো।”
Leave a comment