খুনসহ দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে পুলিশ একদিনেই ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।
শনিবার (২৪ মে) দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৯ জনের মধ্যে পাঁচজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, শুক্রবার দিনগত রাতে জেলার বীরগঞ্জের চাউলিয়া গ্রামে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাশুড়ি বাহা বেসরা (৫৫) । এই ঘটনায় অভিযুক্ত জামাই সামিয়েল মার্ডিকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়। স্ত্রী মিনি হায়দারের সাথে পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বশুর বাড়িতে বিবাদ সৃষ্টি হলে ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হয় শাশুড়ির।
একই উপজেলায় বিকাল সাড়ে ৫টায় মরিচা ইউনিয়নের নাগরগঞ্জ কলোনিপাড়া লিচু বাগান থেকে লিচুপাড়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারায়ণ চন্দ্র বর্মণ (২২) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল গফুর হত্যা ও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলার নবাবগঞ্জে শনিবার দুপুরে খয়েরগুনি গ্রামের পাশে করতোয়া নদীতে ভেসে উঠে অজ্ঞাতপরিচয় (৫০) ব্যক্তির মরদেহ। পরে ওই মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
একই উপজেলার মালভবানীপুর গ্রামের সোহরাফ হোসেনের মেয়ে সাথী আকতার (২০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন বিষয় দুটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় বের করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়াও হাকিমপুর উপজেলার বাওনা আলিহাট গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী বৃষ্টি (১৯) ও একই উপজেলার ঈশ্বরপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে মুনসুর আলী খোকা (৫০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিকালে নিজ শয়নকক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একই রাতে বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ মল্লাপাড়া গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দিনের ছেলে তৌফিকুজ্জামান (৪৭) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিরল থানার ওসি আব্দুস ছবুর।
গলায় লিচুর বিচি আটকে এদিন দুপুরেই বোচাগঞ্জ উপজেলার নাফানগন ইউনিয়নের ধনীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মোমিনের ছয়মাস বয়সের শিশু সন্তান আরফান মারা গেছে।
এছাড়াও দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আঁখি মনি (২৭) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। প্রবাসী হারুন অর রশিদের নতুন বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার সময় ঘরের দরজা বিদ্যুতায়িত হয়। এসময় আঁখি মনি দরজা খুলতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম খন্দকার মুহিব্বুল জানান, অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ।
Leave a comment