রাজধানীর যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার শহীদ জিয়া পার্কে শুক্রবার রাত পৌনে ১১টার দিকে এক বিস্ফোরণের ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। পার্কের পশ্চিম পাশের প্রবেশ ফটকের কাছে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য ও পুলিশি তথ্য অনুযায়ী, একটি স্কচটেপ মোড়ানো জর্দার কৌটায় থাকা ককটেল পার্কের ভেতরে ছুড়ে মারা হয় ফ্লাইওভারের মাওয়ামুখী লেন থেকে। বিস্ফোরণের শব্দে পার্কজুড়ে মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় একজন ব্যক্তি হাতে আঘাত পেয়েছেন এবং তাঁকে স্থানীয় সাফা-মারওয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকি চারজন সামান্য আহত হয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা ফ্লাইওভার থেকে ককটেলটি নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি তবে তদন্ত চলছে। আইনি প্রক্রিয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ওসি।
আহতদের মধ্যে পার্কে অবস্থিত একটি নার্সারির কর্মচারী জুয়েল ব্যাপারী (৪০) গুরুতর আঘাত পান। তাঁর বাঁ হাত ও বাঁ পায়ে স্প্লিন্টারের আঘাত লেগেছে বলে জানান তাঁর ভায়রা মো. শাকিল। ঘটনার পর রাত ১২টার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, জুয়েলের চিকিৎসা বর্তমানে জরুরি বিভাগে চলছে। অন্যান্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিস্ফোরণের সময় পার্কের ভেতরে একটি বৃক্ষমেলা চলছিল, যেখানে অনেক দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর চারদিকে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সাধারণ মানুষ ভয়ে পার্ক ছেড়ে দ্রুত সরে যান।
জুয়েল ব্যাপারীর গ্রামের বাড়ি রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বুনিয়াপাড়ায় হলেও তিনি বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর তুষারধারা সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় বসবাস করছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ককটেলটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে এবং সেগুলো পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হবে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঘটনার সূত্র অনুসন্ধান চলছে।
এ ঘটনায় পার্ক ও আশপাশের এলাকায় চরম উদ্বেগ বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছেন।
Leave a comment