উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে । রাজউকের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এবং ডিএমপির শাহবাগ থানা পুলিশের সহযোগিতায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে ।
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মনসুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরের সব অবৈধ স্থাপনা। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে এসব অবৈধ স্থাপনায় মাদক কেনাবেচা হয় এবং মাদক সেবন হয়। তাই আমরা রাজউক থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে আসি এবং তার নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান চলমান রয়েছে।
অবশ্য এমন অভিযান পরিচালনা করার কথা সরকারের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল । সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর ঢাবি প্রশাসন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে সভা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
তিনি তার ফেসবুক পোস্টে সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে জানান- রাজু ভাস্কর্যের পেছনের গেটটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, মাদক ব্যবসা বন্ধ এবং পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, ডিএমপি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালিত হবে।
নিয়মিত মনিটরিং ও অভিযানের জন্য সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করবে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
উদ্যানে পর্যাপ্ত আলো ও সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং সেগুলোর নিয়মিত মনিটরিং করা হবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি ডেডিকেটেড পুলিশ বক্স স্থাপন করা হবে। উদ্যানে রমনা পার্কের মতো সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে। রাত ৮টার পর উদ্যানে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে। অবিলম্বে এসকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে এক আতঙ্কের স্থান থেকে ধীরে ধীরে একটি নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক স্থানে রূপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় সরকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
Leave a comment