দুই দশকের বেশি সময় ধরে দুই বাংলার কোটি কোটি মানুষকে নিজের গানের দ্বারা মুগ্ধ করেছেন মমতাজ বেগম। সুরের ভুবনের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে বনে যান ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য।
দেড় যুগের রাজনীতির জীবনে, মাঠে নেমেই বিতর্কিত হয়ে পড়েন তিনি। ২০০৯ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ নির্বাচিত হন মমতাজ। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে।
২০১৪ বিএনপিবিহীন নির্বাচন এবং ২০১৮ সালে রাতের ভোটেও মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
সংসদে গিয়ে একের পর এক মন্তব্য করে আলোচিত হন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়েও মন্তব্য করেছেন মমতাজ। শুধু মন্তব্য নয় জাতীয় সংসদে গান গেয়েও আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেন মমতাজ।
বিতর্কিত এই সাবেক সংসদ সদস্যের নামে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে ভারতের তামিলনাড়ুুুর একটি ভূয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি নেয়ার বিষয়টি বেশ জল্পনা-কল্পনার জন্ম দেয়।
২০২১ সালে ভারতের তামিলনাড়ুর গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান পি ম্যানুয়েল মমতাজকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেন।
পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিটি দেয়া হয়েছে সেটির বৈধতা নিয়ে বিতর্ক উঠে। অনেকে দাবি করেন, ভারতে এরকম ডিগ্রি অহরহ বিক্রি হয়। আর ভারতে ‘গ্লোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি’ নামে বৈধ কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। প্রতিষ্ঠানটি ডক্টরেট ডিগ্রি বিক্রি করে।
সে সময় এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মমতাজ গণমাধ্যমকে বলেন, আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয়টি ভুয়া মনে হয়নি। আর ভুয়া বলে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসছে সেটা এ বিশ্ববিদ্যালয় নয়।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমি নিজে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এটা গ্রহণ করেছি। আমার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান পি ম্যানুয়েল। একই সময়ে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন চেন্নাইয়ের সাবেক জেলা জজ থিরু এজে মুরুগানানথাম ও তামিলনাড়ুর আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু খলিফা মাস্তান সাহেব।
মমতাজ বলেন , তবে আমি আমি যা পেয়েছি তা আমার কাছে অনেক সম্মানের। আমি জীবনে অনেক সম্মাননা অর্জন করেছি। কিন্তু এটি আমার জীবনের অন্যতম একটি বড় ঘটনা।
Leave a comment