রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৪।

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কায় নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের নীমতলী এলাকায় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক দুপুর ২টার দিকে চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতরা হলেন- আব্দুস সামাদ ফকির (৬০), তার ছেলে হাফেজ বিল্লাল ফকির (৪০), মেয়ে আফসানা ও এ্যাম্বুলেন্স চালক মাহবুব সরদার (২৮)।

এই ঘটনায় আহতরা জানান, তাদের বাড়ি মাদারিপুরের সদর উপজেলার মিঠাপুর গ্রামে। বিল্লাল ফকিরের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০) । চলতি মাসের ২৩ তারিখ তার বাচ্চা প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ । তবে গত রাত থেকে তার ব্যাথা হচ্ছিল। এজন্য সকালে একটি এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে পরিবারের ১০ জন মিলে ঢাকার পথে আসছিলেন। ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার কথা ছিল তার। এ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা দেওয়ার পর এক্সপ্রেসওয়ের নীমতলী এলাকায় আসার পর চাকা ব্লাস্ট হয়ে যায়।

এরপর রাস্তার ডান পাশে চাপিয়ে সেটির চাকা মেরামত করছিলেন এর চালক। তারা কয়েকজন এ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে বসে ছিলেন, আর কয়েকজন পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাস পিছন থেকে এসে সজোরে এ্যাম্বুলেন্সে ধাক্কা দেয়।
গোল্ডেন লাইন পরিবহনের বাস হেলপার সাইফুল ইসলাম শান্ত জানান, তারা কুষ্টিয়া থেকে যাত্রীবোঝাই বাসটি নিয়ে যাচ্ছিলেন ঢাকার আব্দুল্লাহপুর এলাকায়। নীমতলী এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ের ডান পাশের লেনে দাঁড় করান ছিল এ্যাম্বুলেন্সটি। তখন দ্রুতগতির বাসটির চালক ফয়সাল (৪০) ব্রেক করেও থামাতে পারেনি। সজোরে গিয়ে ধাক্কা লাগে থেমে থাকা এ্যাম্বুলেন্সের পিছনে।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাইওয়ে থেকে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চারজন মারা যায়। এর মধ্যে এক নারী তিন পুরুষ রয়েছে। আহত কয়েকজনকে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

এদিকে হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, মাওয়ার নিমতলা এলাকায় একটি এ্যাম্বুলেন্সকে বাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে এক নারী মারা যান। আর আহতদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠান হয়েছে। ঢাকা মেডিকেলে কেউ মারা গিয়েছে কিনা সেটি তার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। বাস ও এ্যাম্বুলেন্স জব্দ করা হয়েছে।