বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরছেন । তার জন্য একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজারবাইজানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলনুর মামাদভের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে গত সপ্তাহে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনকে চিঠি দেন।
তাতে বলা হয়, খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, তবে ‘আশঙ্কামুক্ত’ নন। তিনি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে দেশে ফিরতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় চিকিৎসকরা বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দেশে আসার পরামর্শ দিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জ্যেষ্ঠ সন্তান তারেক রহমানের বাসায় লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসকরা ‘হোম ভিজিটের’ মাধ্যমে প্রতিদিনই তার চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকরা যখন পরিষ্কারভাবে ছাড়পত্র দেবেন, তখনই তিনি দেশে ফিরতে পারবেন।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) দেশে ফিরবেন। ম্যাডামসহ আমরা দেশে ফিরতে শতভাগ প্রস্তুত। এখন লন্ডন হাসপাতালের চিকিৎসকরা চূড়ান্ত নির্দেশনা দিলেই আমরা রওয়ানা করব।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২৫ জানুয়ারি বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় যান তিনি। এরপর থেকে তারেক রহমানের বাসাতেই রয়েছেন খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
Leave a comment