সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তন্ময় দেবনাথ কর্তৃক এক রোগীকে শারীরিক হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি এক রোগী কর্তব্যরত চিকিৎসককে হাতের ইশারায় ডাকলে, ডা. তন্ময় ক্ষিপ্ত হয়ে রোগী ও তার স্বজনের ওপর চড়াও হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাতের ইশারায় ডাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে চিকিৎসক বলেন, “তুমি কোনো জমিদার নাকি, আমাকে হাতের ইশারায় ডাকছো? আমি কি ফকিন্নির পুত?” —এভাবে রোগীকে অপমান করেন তিনি। রোগীর মামাতো ভাই প্রতিবাদ করলে চিকিৎসক আরও উত্তেজিত হয়ে রোগী ও তার স্বজনকে লাথি মারেন।
পুরো ঘটনাটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠে। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ চিকিৎসকের এহেন আচরণের জন্য তার বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির দাবি জানান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত চিকিৎসক তন্ময় দেবনাথ সার্জারি ইউনিটে কর্মরত থাকার পাশাপাশি সিলেটের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে চেম্বারও করেন।
ভুক্তভোগী রোগী জুবায়ের আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার খলাগাঁও গ্রামের আব্দুল কাদিরের পুত্র কিছুদিন আগে তিনি পেটের বাম পাশের ব্যথা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। ডাক্তার লাভলু তাকে এপেন্ডিসাইটিসের রোগী হিসেবে অপারেশন করেন। তবে পরে আবারও ব্যথা শুরু হলে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। রবিবার দুপুরে প্রচণ্ড ব্যথায় ছটফট করায় টহলরত ডা. তন্ময় দেবনাথকে হাতের ইশারায় ডাকলে এ অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে।
রোগীর পিতা আব্দুল কাদির জানান, ঘটনার সময় তিনি ওষুধ আনতে বাইরে ছিলেন। ফিরে এসে চিকিৎসকের লাথি মারার দৃশ্য দেখে হতভম্ব হয়ে যান। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার পর সার্জারি ইউনিটের কয়েকজন তার ছেলের কাগজপত্র নিয়ে নেন এবং জানান, “আগামীকাল বড় ডাক্তার এসে ছেলের বেয়াদবীর বিচার করে কাগজপত্র ফেরত দেবেন।” তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এতে তার ছেলের কোনো ক্ষতি করা হতে পারে।
Leave a comment