বর্তমানে একজন যাত্রী বিদেশ থেকে ফেরার সময় সর্বোচ্চ তিনটি স্মার্টফোন আনতে পারবেন। এর মধ্যে বিনা শুল্কে দুটি ব্যবহৃত স্মার্টফোন আনতে পারবে । এবং একটি নতুন স্মার্টফোন আনতে পারবেন নির্ধারিত শুল্ক–কর পরিশোধ করে।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ যাত্রী ব্যাগেজ (ব্যক্তিগত পণ্য) বিধিমালা সংশোধন করে এ নিয়ম চালু করেছে । সংশোধিত বিধিমালায় বলা হয়েছে, বিনা শুল্কে কেবল ব্যবহৃত স্মার্টফোন আনা যাবে, নতুন স্মার্টফোন আনলে নির্ধারিত হারে শুল্ক–কর দিতে হবে। নতুন মোবাইল ফোন আনলে মূল্য ৩০ হাজার টাকার মধ্যে হলে শুল্ক ৫ হাজার টাকা, মূল্য ৩০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে হলে শুল্ক ১০ হাজার টাকা এবং মূল্য ৬০ হাজার টাকার বেশি হলে শুল্ক ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে।
কাস্টমস হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে স্মার্টফোন আনার প্রবণতা বাড়ায় নজরদারি আরও কঠোর করেছে। কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে শাহজালাল বিমানবন্দরে ১ হাজার ৪২৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে, যার অধিকাংশই আইফোন ও স্যামসাং ব্র্যান্ডের। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিনটির বেশি মোবাইল ফোন আনতে গিয়ে যাত্রীরা নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। কেউ মোবাইল ফোন শরীরে লুকিয়ে, কেউ লাগেজের মধ্যে কিংবা ক্রোকারিজ পণ্যের ভেতরে ঢুকিয়ে শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এর আগে বিদেশ ফেরত একজন যাত্রী দুটি স্মার্টফোন আনতে পারতেন। এই দুটি স্মার্টফোন নতুন নাকি ব্যবহৃত হবে, তা উল্লেখ ছিল না। কাস্টমস আইন ২০২৩ বিধিমালায় বিনা শুল্কে শুধু ব্যবহৃত স্মার্টফোন আনার বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
কাস্টমস আইনের নতুন বিধানে বলা হয়েছে, একজন যাত্রী সর্বোচ্চ দুটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন শুল্ক ও কর পরিশোধ ব্যতিরেকে আমদানি করিতে পারিবেন এবং তফসিল-২ অনুযায়ী শুল্ক ও কর পরিশোধ সাপেক্ষে একটি নতুন মোবাইল ফোন আমদানি করিতে পারিবেন। ইহার অতিরিক্ত আমদানিকৃত মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে বিধি ১০ ও অন্যান্য প্রচলিত বিধিবিধান প্রযোজ্য হইবে।’
এ বিষয়ে ঢাকা কাস্টমস হাউজের কমিশনার মুহম্মদ জাকির হোসেন জানান, শুল্ক–কর নির্ধারিত করে দেওয়ায় যাত্রীরা সুবিধা পাবেন। কারণ, এখন একজন যাত্রী আইফোনের মতো একটি দামি স্মার্টফোন আনলেও সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা শুল্ক–কর দিতে হবে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে দামি স্মার্টফোন আমদানিতে এর দুই থেকে তিন গুণ শুল্ক-কর দিতে হয়।
তিনি বলেন , আমরা ঘোষণা দিয়েছি- চোরাচালানের ক্ষেত্রে আমাদের জিরো টলারেন্স। কোনও সুযোগ নেই অবৈধ পণ্য আনার। পাশাপাশি শুল্কায়নযোগ্য পণ্যও শুল্ক ছাড়া বিমানবন্দরে থেকে বের হতে পারবে নাদিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে কর্মকর্তাদের সেভাবেই দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে কর্মকর্তাদের।
Leave a comment