ঢাকার বনানীতে নির্মমভাবে খুন হওয়া প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম (পারভেজ) হত্যা মামলায় এক চাঞ্চল্যকর মোড় এসেছে। মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মো. মাহাথির হাসান (২০) আজ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই জবানবন্দি রেকর্ড করার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাহাথির আদালতে বলেন, হত্যাকাণ্ডের দিন তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, পূর্বপরিচিত দুই নারী শিক্ষার্থী ফোন করে জানান, জাহিদুল তাঁদের দেখে অশোভন আচরণ ও হাসাহাসি করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মাহাথিরসহ তিনজন ঘটনাস্থলে যান। সেখানে পূর্বপরিচিত মেহেরাজ ইসলামসহ অন্যরা জাহিদুলের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়।
এর আগে গতকাল চট্টগ্রামের হালিশহর থেকে মাহাথিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আজ তাঁকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। একই মামলায় আগেই আল কামাল শেখ নামে এক আসামিও আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
এ পর্যন্ত মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন—মেহেরাজ ইসলাম, আলভী হোসেন জুনায়েদ, আল আমিন, মো. হৃদয় মিয়াজী, আল কামাল শেখ এবং মাহাথির হাসান।
হত্যাকাণ্ডটি ঘটে গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে, বনানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে। দেশি অস্ত্রে সজ্জিত একদল যুবক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল এবং তাঁর বন্ধু তরিকুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুলকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত জাহিদুলের ফুফাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের পেছনের উদ্দেশ্য ও জড়িতদের বিস্তারিত পরিচয় বের করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্তে উঠে আসা এই স্বীকারোক্তি মামলার গতিপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে পুলিশ।
Leave a comment