১৯৭২ সালের ২৫ এপ্রিল, বাংলাদেশের কূটনৈতিক ইতিহাসে যুক্ত হয় আরেকটি গৌরবময় অধ্যায়। সেদিন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ লাওস আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি নবীন জাতির জন্য এটি ছিল আত্মপ্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সাফল্য।
লাওসের এই স্বীকৃতি এমন এক সময়ে আসে, যখন বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে তার পরিচয় প্রতিষ্ঠার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় ছিল সদ্য স্বাধীন দেশের প্রধান অগ্রাধিকার। লাওসের স্বীকৃতি প্রমাণ করে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ন্যায্যতা আন্তর্জাতিকভাবে ধীরে ধীরে স্বীকৃতি পাচ্ছে।
লাওস ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সাহসিকতা ও সমর্থন দেখিয়েছিল। একই সঙ্গে এ স্বীকৃতি দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যৎ কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গঠনের একটি ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে ওঠে।
এই কূটনৈতিক অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ কেবল আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার অবস্থানকে শক্তিশালী করেছিল না, বরং এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোকে স্বাধীন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে উৎসাহিত করেছিল।
আজকের দিনে ফিরে তাকালে, ২৫ এপ্রিল ১৯৭২ সাল শুধু একটি তারিখ নয়; এটি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ইতিহাসে একটি মূল্যবান মাইলফলক।
Leave a comment