বড় পর্দার শ্রেষ্ঠতম মূকাভিনেতা ও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কৌতুকাভিনেতা ,পরিচালক ও সুরকার স্যার চার্লস স্পেনসার ‘চার্লি চ্যাপলিন’ এর জন্মদিন আজ।
তিনি ১৮৮৯ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার ১৩৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজও সারা বিশ্বে সিনেমাপ্রেমীরা স্মরণ করছেন এই মহান শিল্পীকে, যিনি নিঃশব্দ চলচ্চিত্রের যুগে হাস্যরস ও মানবতার গল্প বলায় হয়ে উঠেছিলেন অনন্য।
চ্যাপলিন শুধু একজন কৌতুক অভিনেতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন সমাজের পীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর। তার সৃষ্ট চরিত্র ‘দ্য ট্রাম্প’ বা ‘দ্য লিটল ট্রাম্প’ বিশ্বব্যাপী দর্শকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিল। টুপি, বাঁকা গোঁফ, ঢিলেঢালা প্যান্ট আর বাঁশির মতো লাঠি নিয়ে চ্যাপলিনের এই চরিত্রটি হয়ে উঠেছিল নির্বাক চলচ্চিত্রের প্রতীক।
চ্যাপলিন লন্ডনে শৈশব অতিবাহিত করেন প্রচণ্ড দারিদ্র ও কষ্টের মধ্য দিয়ে। তার বাবার অনুপস্থিতি ও তার মায়ের অর্থাভাবের জন্য তাকে নয় বছর বয়সের পূর্বেই দুইবার একটি কর্মশালায় কাজ করতে পাঠানো হয়েছিল। যখন তার বয়স ১৪ তখন তার মাকে পাগলাগারদে পাঠানো হয়।
চ্যাপলিন তার শৈশব থেকেই শিশুশিল্পী হিসেবে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন রঙ্গশালায় সফর করেন এবং পরে একজন মঞ্চাভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা হিসেবে অভিনয় শুরু করেন। ১৯ বছর বয়সে তিনি স্বনামধন্য ফ্রেড কার্নো কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হন, যারা তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে নিয়ে যায়।
চ্যাপলিন সেখানে হলিউড চলচ্চিত্র শিল্পের সাথে যুক্ত হন এবং ১৯১৪ সালে কিস্টোন স্টুডিওজের হয়ে বড় পর্দায় অভিনয় শুরু করেন।
অচিরেই তিনি তার নিজের সৃষ্ট ভবঘুরে দ্য ট্রাম্প চরিত্রের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন এবং তার অনেক ভক্তকূল গড়ে ওঠে। ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, পর্তুগালে “শার্লট” নামে পরিচিত চ্যাপলিনের ট্রাম্প ভবঘুরে হলেও ব্রিটিশ ভদ্রজনোচিত আদব-কায়দায় সুসংস্কৃত এবং সম্মানবোধে অটুট।
শুরুর দিক থেকেই চ্যাপলিন তার চলচ্চিত্রগুলো পরিচালনা করতেন এবং পরবর্তীতে এসানে, মিউচুয়াল ও ফার্স্ট ন্যাশনাল করপোরেশনের হয়েও চলচ্চিত্র পরিচালনা চালিয়ে যান।
Leave a comment