চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন শেষ হয়েছে সফলভাবে। এবারের আয়োজন ছিল অনেকটা ব্যতিক্রম—বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীদের কাছে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরাই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) সম্মিলিতভাবে বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে সরেজমিন ঘুরিয়ে দেশের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা সরাসরি দেখানোর ব্যবস্থা করেছে।
বিডার তথ্য অনুসারে, ৪২টি দেশ থেকে প্রায় ৪০০ জন অংশগ্রহণকারী সরাসরি এই সম্মেলনে অংশ নেন। এর মধ্যে ৩০০ জনের বেশি ছিলেন বিদেশি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ ছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশি। হিসাব অনুযায়ী, চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকে আগত অংশগ্রহণকারীরাই সম্মেলনের মোট অংশগ্রহণকারীর অর্ধেক।
চীন থেকে সর্বাধিক ১৪৭ জন প্রতিনিধি এসেছেন, যা স্পষ্ট করে যে দেশটি বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহী। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৪৪ জন এবং যুক্তরাজ্য থেকে ২৯ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন।
উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন খ্যাতনামা কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, চেয়ারম্যান ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। চীনের আলিবাবা, যুক্তরাজ্যের ডেলোয়েট, দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং, জাপানের টয়োটা ট্যুসো, বিশ্ববিখ্যাত পেমেন্ট কোম্পানি ভিসা, উবার, চায়না হারবার, পাওয়ার-চায়না—সবগুলোই এই সম্মেলনে অংশ নেয়।
এছাড়া আর্থিক ও প্রকৌশল খাতের জায়ান্ট যেমন কেএফডব্লিউ ব্যাংক, ফিচনার, রয়েল হাসকোনিং ডিএইচভি, ফিনল্যান্ডের ওয়্যারপাস, চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন এবং ফ্রান্সের ডেকাথলনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর উপস্থিতিও সম্মেলনকে সমৃদ্ধ করেছে।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে একটি নতুন বার্তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ আকর্ষণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
Leave a comment