গাজার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, ইসরায়েলি বাহিনী বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। সোমবার ভোর থেকে শুরু হওয়া হামলায় অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং শতাধিক আহত হয়েছেন। এতে গাজার অবরুদ্ধ উপত্যকায় নিহতের মোট সংখ্যা ৫০ হাজার ৭৫০ ছাড়িয়ে গেছে।
গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে প্রায় ১,৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। এই সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে দেইর আল-বালাহ এবং খান ইউনিসে আক্রমণের পর। দেইর আল-বালাহতে একটি বাড়িতে হামলায় ৯ জন এবং খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে একটি তাঁবুতে হামলায় ৩ জন নিহত হয়েছেন।
পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০,৭৫২ জনে পৌঁছেছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
এই হামলাগুলোর প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে, তবে শান্তির জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি দিন দিন আরও অবনতির দিকে যাচ্ছে, যেখানে অসংখ্য ফিলিস্তিনি নাগরিক তাদের জীবন ও জীবিকা হারাচ্ছে।
এছাড়া, মানবিক সহায়তার জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজায় ত্রাণ পাঠানোর চেষ্টা করলেও, অবরোধ এবং সীমাবদ্ধতার কারণে কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
Leave a comment