ইসরায়েল গাজা সিটির শুজাইয়া এলাকার পূর্বাংশে ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে নতুন করে নির্দেশ জারি করেছে ।
শুজাইয়া এলাকাটি বর্তমানে অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। কারণ, বহু ফিলিস্তিনি পরিবার সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর পুনরায় নিজেদের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিল।
সম্প্রতি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও তাদের ট্যাঙ্কগুলো শুজাইয়ার নিকটবর্তী কৌশলগত স্থানে অবস্থিত আল-মুনতার পাহাড় পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। পাহাড়টি পুরো শুজাইয়া অঞ্চলকে বিচ্ছিন্ন করে, যার ফলে ইসরায়েলি বাহিনী অঞ্চলটি লক্ষ্য করে তীব্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে অনেকে আবারও পালিয়ে যাচ্ছেন গাজার পশ্চিমাঞ্চলে। তবে, অধিকাংশ ফিলিস্তিনি পরিবার নানা কারণে শুজাইয়া ছেড়ে যেতে পারেননি এবং আতঙ্ক-ভয় নিয়েই এখনও সেখানে অবস্থান করছেন।
৬ এপ্রিল রোববার সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদিও শুজাইয়ার আশেপাশে ইসরায়েলি ট্যাঙ্ক মোতায়েন রয়েছে এবং টানা হামলা চলছে, তারপরও অনেক ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছাড়তে পারছেন না। সেখানে মানবিক সংকট এতটাই তীব্র যে, তারা বলছেন— তাদের যাওয়ার আর কোনো জায়গা নেই!
ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণ ও গুলির মুখেও শুজাইয়ার বহু পরিবার নিজেদের বাড়িতেই থেকে যাচ্ছেন। অনেকে বলছেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ইতিমধ্যে উপচে পড়ছে, খাদ্য ও পানির ঘাটতি রয়েছে। ফলে এক অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেও তারা নিজেদের ভাঙা ঘরেই থাকাকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করছেন।
এক বাসিন্দা জানান, যুদ্ধবিরতির সময় ফিরে এসেছিলাম, এখন আবার পালানোর উপায় নেই। পরিবার নিয়ে কোথায় যাব?
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর লাগাতার হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় এই আরও অন্তত ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ হাজার ৬৯৫ জনে। এর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আহত অবস্থায় ১১৩ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় । এই নিয়ে চলমান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মোট ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৩৩৮ জন আহত হয়েছে।
Leave a comment