নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দ্রুত বিচার ও মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংযোজনের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংগঠন নারীপক্ষ। তারা মনে করে, জনতুষ্টির জন্য তাড়াহুড়া করে আইন সংশোধন করলে অপরাধের সুবিচার নিশ্চিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
রোববার নারীপক্ষের আন্দোলন সম্পাদক সাফিয়া আজীম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সরকার “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০” সংশোধন করে দ্রুত বিচার ও মৃত্যুদণ্ডের বিধান যুক্ত করতে যাচ্ছে। তবে এ ধরনের পরিবর্তন অপরাধ দমনের কার্যকর সমাধান নয় বরং সুবিচারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
নারীপক্ষ জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে আইন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন বলে আশা করে।
গত বুধবার আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানান, ধর্ষণ মামলার তদন্ত ও বিচার দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে সংশোধিত আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। এর ফলে তদন্তের সময়সীমা ৩০ দিন থেকে কমিয়ে ১৫ দিন এবং বিচার ৯০ দিনের মধ্যে শেষ করার বিধান রাখা হয়েছে।
এছাড়া, নতুন বিধানে ডিএনএ প্রতিবেদন ছাড়াই চিকিৎসা সনদ ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মামলার বিচারকাজ পরিচালনার সুযোগ রাখা হচ্ছে।
Leave a comment